ছবি : সংগৃহীত
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমান বাহিনীর পুরনো বিমান ব্যবহার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কেন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কিনছে না। এমন প্রেক্ষাপটে, ডিফেন্স সিকিউরিটি অব এশিয়া'র এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশের অত্যাধুনিক জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কেনার আগ্রহ বানচালে সক্রিয় রয়েছে ভারত।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, সেই সফরে তারা পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর প্রধানের সাথে দেখা করে পাকিস্তান ও চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান কেনার প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে।
তবে, গত ২২ জুলাই ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ যেন এই বিমান কিনতে না পারে, সেজন্য ভারত সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের এই যুদ্ধবিমান ক্রয়কে শুধুমাত্র একটি সাধারণ সামরিক ক্রয় হিসেবে দেখে না, বরং তারা এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোর জন্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করে।
পাকিস্তানের জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানগুলো ওজনে তুলনামূলকভাবে হালকা এবং দিন-রাতে ও সব ঋতুতে হামলা চালাতে সক্ষম। অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানটি পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) ও চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে।
সামরিক পরিভাষায় জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানকে 'মাল্টি-রোল ফাইটার জেট' বলা হয়। অনেক উঁচু থেকে হামলা চালানো, মাটির খুব কাছাকাছি নেমে বোমাবর্ষণ করা, প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমানের সাথে আকাশে লড়াই (ডগফাইট), শত্রুর আকাশসীমায় ঢুকে বিপক্ষের ঘাঁটি এবং সমর সজ্জার নির্ভুল খবর নিয়ে আসা— এই সব কাজই করতে পারে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান।