কম্বোডিয়ার রকেট হামলায় থাইল্যান্ডে ১২ নিহত, থাই বিমানবাহিনীর পাল্টা আক্রমণ

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

গতকাল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সৃষ্টি হয় এক উত্তেজনাকর সংঘর্ষ। কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী BM-21 রকেট ব্যবহার করে থাইল্যান্ডের সুরিন ও উবন রাচাথানি প্রদেশে হামলা চালিয়েছে, যাতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ডজনখানেক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক (একজন ৮ বছরের শিশু ও ১৫ বছরের কিশোরসহ) এবং একজন থাই সেনা সদস্য রয়েছেন ।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় থাইল্যান্ড তার এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে কম্বোডিয়ার সামরিক অবস্থানগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ করে। থাই কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এটি একটি “সুনির্দিষ্ট প্রতিরক্ষামূলক অভিযান” ছিল । তবে কম্বোডিয়া এ হামলাকে “অপরিকল্পিত আগ্রাসন” আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘে অভিযোগ জানিয়েছে ।

এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল বিতর্ক যা দুই দেশের মধ্যে ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো সীমান্ত বিরোধের কেন্দ্রে থাকা প্রেয়াহ বিহার মন্দির সংলগ্ন এলাকা নিয়ে হয়ে আসছে। ২০০৮ সালে ইউনেস্কো এ মন্দিরকে কম্বোডিয়ার বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিলে উত্তেজনা বাড়ে ।
গত মে মাসে এক কম্বোডিয়ান সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে উভয় দেশ সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে ।

থাইল্যান্ড ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৪০,০০০ বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে । কম্বোডিয়ার গ্রামবাসীরা বালির বস্তা ও টায়ার দিয়ে তৈরি অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন ।

এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সংঘর্ষ বন্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে । জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক ডেকেছে ।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী (আসিয়ান চেয়ার) দুই পক্ষকে সংযমের অনুরোধ জানিয়েছেন ।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত স্পষ্ট করেছেন, “সামরিক আগ্রাসনের জবাব সামরিকভাবেই দেওয়া হবে” । বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে ।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ