ছবি : সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারাদেশের সকল স্তরের কমিটির কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করেছে সংগঠনটি। গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশীদ ।
সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশীদ উল্লেখ করেন, "সারা বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে নামে-বেনামে বিভিন্ন অপকর্ম করা হচ্ছে। কিছু সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে চলে গেছে বা বিপথগামী হয়ে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে" ।
তিনি বিশেষভাবে গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে সংগঠনের পাঁচজন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন । এই ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সারাদেশে শতাধিক কমিটি রয়েছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত: ৪৫টি জেলা কমিটি , ৭টি মহানগর কমিটি ,২৩টি থানা কমিটি , ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটি এবং অসংখ্য উপজেলা পর্যায়ের কমিটি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনামুল হাসান জানান, "আমরা শিগগিরই নতুন করে শুদ্ধ ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করবো। এর মধ্যেই যারা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কোনো অপকর্ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি" ।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল। গত বছর অক্টোবরে সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয় এবং ফেব্রুয়ারি মাসে এর সম্মুখসারির নেতাদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠিত হয়। সর্বশেষ গত জুন মাসে সংগঠনটির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয় ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থগিতকৃত কমিটিগুলোর পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে শীঘ্রই বিস্তারিত ঘোষণা দেওয়া হবে ।