থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘর্ষ: চতুর্থ দিনেও অব্যাহত গোলাবর্ষণ, শান্তি আলোচনা অনিশ্চিত

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চতুর্থ দিন ধরে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত এবং ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রাহা প্রেহিয়ার মন্দিরসংলগ্ন বিতর্কিত অঞ্চল এই সংঘাতের কেন্দ্রে থাকলেও উভয় পক্ষ একে অপরকে সংঘর্ষ শুরুর জন্য দায়ী করছে ।

থাইল্যান্ড সারিন প্রদেশকে “যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল” ঘোষণা করে জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের “ভারী অস্ত্র ও বিমান হামলা” তাদের ভূখণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধি করছে । থাই সেনাবাহিনীর দাবি, কম্বোডিয়ান স্নাইপাররা বিতর্কিত মন্দিরে ঘাঁটি গেড়ে রকেট হামলা চালাচ্ছে ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই দেশ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে শান্তি আলোচনায় বসেছে। তবে থাইল্যান্ডের সংশয়:
“কম্বোডিয়া আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলার জন্য শুধু আলোচনায় অংশ নিচ্ছে, বাস্তবে তারা সংঘাত দীর্ঘ করতে চায়”।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আশাবাদী হলেও থাই-কম্বোডিয়ান সম্পর্কের গভীর অবিশ্বাস এবং সীমান্ত বিরোধের শতবর্ষী ইতিহাস শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে ।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ