
শেখ হাসিনার মামলায় মূল তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজ মূল তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে তিনি ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেবেন। আলমগীর এই মামলার সর্বশেষ সাক্ষী।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানিয়েছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দির অংশবিশেষ ও জব্দ করা ভিডিও প্রদর্শনী সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সম্প্রচারের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার ২২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। সেদিন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা সাক্ষ্য দেন। পরে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন তাকে জেরা করেন। তদন্তকালে জোহা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ, তিনটি মোবাইল নম্বরের সিডিআর এবং পাঁচটি অডিও কথোপকথন সংবলিত তিনটি সিডি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন, যাদের মধ্যে দুজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার রেকর্ড ও লাইব্রেরি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। ২২ সেপ্টেম্বর ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ হলেই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে, এরপর রায়ের ধাপ।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মামুন নামের আরও একজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যেখানে তথ্যসূত্র, জব্দতালিকা, প্রমাণাদি ও শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মোট ৮১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। গত ১২ মে এ মামলার প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
















